পবিত্র হজ ও ওমরাহর গুরুত্বপূর্ণ রুকন তাওয়াফ। কাবা শরিফকে
কেন্দ্র করে সাতবার প্রদক্ষিণ করা এই ইবাদতটি সঠিক নিয়মে পালন করা অত্যন্ত জরুরি। তবে অনেক হজ ও ওমরাহযাত্রী অজানা কারণে বা অতিরিক্ত আবেগে কিছু কাজ করে ফেলেন, যা সুন্নতের পরিপন্থী এবং অন্যদের জন্য অসুবিধার কারণ হয়। নিচে সাধারণ কিছু ভুল তুলে ধরা হলো:
মোজা বা বিশেষ জুতা পরে তাওয়াফ করা, পাখির বিষ্ঠা থেকে বাঁচার অজুহাত দিয়ে, বা নারীর স্পর্শ এড়াতে হাত ঢেকে রাখা।
নিয়ত মুখে মুখে উচ্চারণ করা, যেমন “আমি সাত চক্কর তাওয়াফ করছি।”
হাজরে আসওয়াদ স্পর্শের সময় দুই হাত তুলে ধরার চেষ্টা।
হাজরে আসওয়াদ চুমু খাওয়ার জন্য ভিড় করা বা ইমামের আগে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা।
হাজরে আসওয়াদের সামনে দীর্ঘ সময় দাঁড়ানো, ভিড় বাড়ানো এবং অন্যদের চলাচলে বিঘ্নতা সৃষ্টি করা।
মাকামে ইবরাহিমের কাছে দুই রাকাত তাওয়াফ নামাজে জোর দেওয়া, যা অন্যদের চলাচলে সমস্যা দেয়।
তাওয়াফের সময় ডান হাত বাম হাতের ওপর রাখা।
নির্দিষ্ট স্থানে বা নির্দিষ্ট দোয়ায় স্থির থাকা, যেমন:
রুকনে ইরাকি কোণে বিশেষ শব্দে দোয়া করা।
মিজাবুর রহমানের নিচে দাঁড়িয়ে বিশেষ দোয়া পড়া।
রমল করার সময় নির্দিষ্ট বাক্যে দোয়া করা।
তাওয়াফের শেষ চার চক্করে নির্দিষ্ট শব্দে দোয়া করা।
দুইটি শামি কোণ চুমু খাওয়া বা স্পর্শ করা।
কাবার দেয়াল বা মাকামে ইবরাহিমে হাত বুলানো।
কাবার উঁচু দেয়ালকে ‘আল-উরওয়াতুল উসকা’ মনে করে সেখানে হাত লাগানো।
বৃষ্টির সময় তাওয়াফ করলে সব গুনাহ মাফ হয় এমন বিশ্বাস।
কাবার মিজাব থেকে বৃষ্টির পানি নিয়ে বরকত পাওয়ার চেষ্টা।
জমজমের পানি দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে দাড়ি, টাকা-পয়সা বা কাপড় ভিজিয়ে বরকত নেওয়া।
ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, হজ ও ওমরাহর সব আমল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশনা অনুযায়ী পালন করা সবচেয়ে নিরাপদ। অতিরিক্ত আবেগ বা লোকাচার হজ ও ওমরাহর সৌন্দর্য ও শৃঙ্খলা নষ্ট করতে পারে। তাই হজ ও ওমরাহ যাত্রীর উচিত সঠিক জ্ঞান অর্জন করা এবং অন্যদের অসুবিধা না দিয়ে ইবাদত সম্পন্ন করা।
এসআর
মন্তব্য করুন: