[email protected] রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
১৩ পৌষ ১৪৩২

রজব মাস থেকেই নিন রমজানের প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ৩:৩৮ পিএম

সংগৃহীত ছবি

চলছে পবিত্র রজব মাস।

পরিভাষায় রজবকে রমজানের প্রবেশদ্বার বলা হয়। রজব ও রমজানের মাঝে রয়েছে মাত্র একটি মাস—শাবান। তাই রজব মাসই হলো রমজানুল মুবারককে স্বাগত জানানোর জন্য আত্মিক ও শারীরিক প্রস্তুতি গ্রহণের সর্বোত্তম সময়।
রমজানুল মুবারকের প্রকৃত কল্যাণ তারাই লাভ করতে পারেন, যারা পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে এ মাসে প্রবেশ করেন। নিচে কয়েকটি ধাপ তুলে ধরা হলো, যেগুলো অনুসরণ করে রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি শুরু করা যেতে পারে—
আত্মসমালোচনা ও তওবা
বিগত জীবনে সংঘটিত গুনাহগুলো নিয়ে আত্মসমালোচনা করা জরুরি। ভুলের উপলব্ধি থেকে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা, আন্তরিক তওবা করা এবং ভবিষ্যতে গুনাহ পরিহারের দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করাই এই সময়ের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
মুহাসাবা বা আত্মসমালোচনা একজন মুমিনের বড় গুণ। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
“বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি, যে নিজের নফসের হিসাব নেয় এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য কাজ করে।”
— (তিরমিজি, হাদিস: ২৪৫৯)
রোজার অভ্যাস গড়ে তোলা
রজব মাস থেকেই সপ্তাহে এক বা দুই দিন নফল রোজা রাখার অভ্যাস গড়ে তোলা যেতে পারে। এতে শরীর ও মন ধীরে ধীরে রমজানের পূর্ণ মাসব্যাপী রোজার জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠে।
কুরআন তিলাওয়াত
প্রতিদিন কুরআনের একটি নির্দিষ্ট অংশ তিলাওয়াত করার অভ্যাস তৈরি করা উচিত। এতে রমজানে খতমে কুরআন সহজ হয় এবং কুরআনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়।
কুরআন শিক্ষা ও তাজবিদ
যারা এখনো কুরআনের শুদ্ধ তিলাওয়াত ও তাজবিদ শিখতে পারেননি, তাদের জন্য এটি শুরু করার উপযুক্ত সময়। সহিহ তাজবিদসহ কুরআন তিলাওয়াত করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। অবহেলা করলে তা গুনাহের কারণ হয়।
গুনাহ বর্জন ও আত্মসংযম
রজব মাসে যথাসম্ভব গুনাহ, অপ্রয়োজনীয় কথা ও কাজ পরিহার করা উচিত। স্মার্টফোনের অযথা ব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, টেলিভিশন ও অপ্রয়োজনীয় বিনোদন কমিয়ে দিলে অন্তর পরিশুদ্ধ হয় এবং ইবাদতে মনোযোগ বাড়ে।
দোয়ার প্রতি গুরুত্ব
রজব মাসে রাসূলুল্লাহ (সা.) একটি বিশেষ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন—
“আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাবা ওয়া শা’বানা ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।”
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দিন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।
— (শুআবুল ঈমান: ৩৫৩৪)
রজব মাস থেকে প্রস্তুতি শুরু করলে শাবানে তা আরও সুসংহত করা সহজ হয় এবং পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে রমজানে প্রবেশ করা সম্ভব হয়।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে রজব ও শাবান মাসে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করে রমজানুল মুবারকের পূর্ণ বরকত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর