[email protected] রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
১৩ পৌষ ১৪৩২

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন: নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য

সাইদুর রহমান

প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৪৭ পিএম

সংগৃহীত ছবি

আগামীকাল বৃহস্পতিবার দেশে প্রত্যাবর্তন করছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তার দেশে প্রত্যাবর্তন নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

দীর্ঘদিন প্রবাসে অবস্থানের পর তার সম্ভাব্য দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের মধ্যে বাড়ছে আশাবাদ ও উদ্দীপনা।


দলীয় সূত্র জানায়, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নতুন গতি আনবে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।

বিভিন্ন জেলা ও মহানগরে নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা-পর্যালোচনা, প্রস্তুতি সভা ও অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকের ধারণা, তার সরাসরি নেতৃত্ব মাঠের রাজনীতিকে আরও সুসংগঠিত ও গতিশীল করবে।

তারেক রহমান বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন।

২০০৯ সালে দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এবং পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি দল পুনর্গঠন, আন্দোলন-কৌশল নির্ধারণ এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।

দীর্ঘদিন প্রবাসে অবস্থান করলেও ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি নিয়মিতভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। ভিডিও কনফারেন্স ও ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে তিনি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন এবং আন্দোলন-কর্মসূচি নির্ধারণে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

তবে নেতাকর্মীদের একাংশ মনে করছেন, তার সরাসরি উপস্থিতি দলকে আরও ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।

তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা জানান, তারেক রহমানের নেতৃত্বে অতীতে দল আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। তার প্রত্যাবর্তন আন্দোলনের মাঠে নতুন গতি আনবে এবং সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। বিশেষ করে তরুণ ও নবীন নেতাদের মধ্যে তাকে ঘিরে বাড়তি আগ্রহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা বিএনপির জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াবে না, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেও নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে। একই সঙ্গে সরকার ও বিরোধী রাজনীতির মধ্যে উত্তেজনা ও রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, দল যেকোনো রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বিএনপি আরও সুসংগঠিত ও কার্যকর রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও দপ্তরে সংযুক্ত আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রতিদিনের বাংলাকে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হতে যাচ্ছে। উনি কোন পরিপ্রেক্ষিতে এবং কিভাবে দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন সেটা আমরা সবাই জানি। আবার কিভাবে তিনি প্রবাসে বসে বছরের পর বছর নিরলস পরিশ্রম করে দেশের গনতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন সেটাও কারো অজানা নয়। বাংলাদেশের গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অন্যতম নায়ক তারেক রহমান। তার হাত ধরে দেশে গনতন্ত্র এসেছে। অবশেষে তিনি নিজেও দেশে আসতে যাচ্ছেন।

ফলে উনার শুভাগমন উপলক্ষে শুধু বিএনপি নয় গোটা দেশবাসী আনন্দে উদ্বেলিত।

উনাকে স্বাগত জানাতে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, জনতা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

সব মিলিয়ে, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে, তা বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশল, আন্দোলন এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা৷ 

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর