গণমাধ্যমে হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখার আহ্বান সালাহউদ্দিন আহমেদের

গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই ঘটনাগুলোর মাধ্যমে সারা দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আসন্ন নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার কোনো পরিকল্পনা বা অপকৌশল রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি।”

তিনি বলেন, দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সংবিধান সংশোধন বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নিহত শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছিলেন। তার সমর্থকদের অভিযোগ, অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “এ ধরনের পরিস্থিতি অনুমান করে আগে থেকেই গোয়েন্দা তথ্য থাকা উচিত ছিল এবং প্রিকশনারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার ছিল।

বিশেষ করে কয়েকটি টার্গেট স্থান আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল—এটা আমরা দেখেছি।”

তবে এ ধরনের সহিংস কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “কিছু ষড়যন্ত্র বা নীলনকশা থাকতেই পারে।

তবে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে বিএনপি সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করছে এবং সরকারও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে।”

তিনি আরও জানান, আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরার পর তারেক রহমানকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করা হবে। রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় ওই অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ করা হচ্ছে।