[email protected] রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
১৪ পৌষ ১৪৩২

ইসির কাছে নিরাপত্তা চাইলেন ফুয়াদ ও সিগমা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ৩:২৩ পিএম

ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে লিখিত আবেদন করেছেন দুই সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী।

তাঁরা হলেন—কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ–মুলাদী) আসনের প্রার্থী ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

ইসি সূত্র জানায়, বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।

এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

অন্যদিকে, কাজী রেহা কবির সিগমা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ ও আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে লিখিত আবেদন জমা দেন।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সিইসির কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে কাজী রেহা কবির সিগমা বলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে পক্ষপাতমুক্ত, সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন করতে অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের অঙ্গীকার থাকলেও বাস্তবে সেই প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ শুরু করার পর ব্যাপক জনসমর্থন পেলেও অষ্টগ্রাম থানার পুলিশ তাঁর নির্বাচনী কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে। আইনানুগ গণসংযোগ কার্যক্রমকে দুরূহ করে তুলতেই পুলিশ ভীতি প্রদর্শন করছে বলে অভিযোগ করেন সিগমা।

সিগমা জানান, ১৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে তাঁর এক নিরপরাধ কর্মী মো. কিয়ামত আলীকে গ্রেপ্তার করে ভুয়া মামলায় আদালতে পাঠানো হয়। এতে তাঁর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং নির্বাচনী কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মো. কিয়ামত আলী একজন জনপ্রিয় ও নিরীহ ব্যক্তি, যার বিরুদ্ধে আগে কোনো মামলা বা অভিযোগ ছিল না। তাকে ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বর দায়ের করা একটি মামলায় আসামি দেখানো হলেও তিনি এজাহারভুক্ত নন। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অবস্থান করলেও পুলিশ কখনো তাঁর খোঁজ নেয়নি। এতে স্পষ্ট হয়, শুধুমাত্র কর্মীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সিগমা অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং একটি প্রশ্নাতীত ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সিইসির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, “পুলিশ ভীতি সৃষ্টি করছে। আমি ও আমার কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই ইসি ও প্রশাসনের কাছে সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছি।”

প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে কমিশনের অবস্থান জানতে চাইলে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “ব্যারিস্টার ফুয়াদ আমাদের কাছে এসেছিলেন।

তাঁর অভিযোগ, পুলিশ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে না। নির্বাচন কমিশন সার্বিকভাবে সব প্রার্থীর নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।”

উল্লেখ্য, ইসির ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন ও একই সময়সূচিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর