আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলীয় জোট নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও আইন মন্ত্রণালয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা অন্তত ৩৬টি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের জোট ‘জুলাই ঐক্য’।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইসরাফিল ফরাজীর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জোটের পক্ষে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (বোরহান মাহমুদ) এ নোটিশ প্রদান করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৮ সালে সরকার গঠনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ ধীরে ধীরে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে, যার চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে ২০১৪ সালে ভোটবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখার মধ্য দিয়ে। টানা দেড় দশকের বেশি সময় ধরে চলা এই শাসনের অবসান ঘটে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ সময় আওয়ামী লীগের সহযোগী শক্তি হিসেবে জাতীয় পার্টিসহ আরও কয়েকটি দল সক্রিয় ভূমিকা পালন করে, যাদের একত্রে ১৪ দলীয় জোট হিসেবে পরিচিত করা হতো।
বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়, গণঅভ্যুত্থানের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা দেশত্যাগ করলেও তারা বিদেশে অবস্থান থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতা এবং ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
জুলাই ঐক্যের দাবি, ৫ আগস্টের পর থেকেই আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটভুক্ত দলগুলো নিষিদ্ধের দাবি উঠে আসলেও সাম্প্রতিক হত্যাচেষ্টা সেই দাবিকে আরও জোরালো করেছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: