দেশে ফিরে দিনভর ব্যস্ত কর্মসূচি শেষে এবং অসুস্থ মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পাশে সময় কাটিয়ে গুলশানের বাসভবনে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৩৪ মিনিটে তিনি গুলশানে নিজ বাসভবনের উদ্দেশে এভারকেয়ার হাসপাতাল ত্যাগ করেন। এর আগে সন্ধ্যা ৫টা ৫২ মিনিটের দিকে তারেক রহমান এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান। এ সময় তার সঙ্গে দলের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন। তারেক রহমানের হাসপাতালে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগেই সেখানে যান তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান।
তারেক রহমানকে বহনকারী বাসটি হাসপাতালের প্রধান গেটে পৌঁছালে তিনি বাস থেকে নেমে হেঁটে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে পূর্বাচলে আয়োজিত এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তারেক রহমান। বক্তব্যে তিনি সম্প্রতি শহীদ হওয়া শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন,
“কয়েকদিন আগে ওসমান হাদি শহীদ হয়েছেন। তিনি চেয়েছিলেন এ দেশের মানুষ তাদের অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাক। ’৭১–এ যারা শহীদ হয়েছেন এবং ’২৪–এ যারা শহীদ হয়েছেন—তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।”
তারেক রহমান বলেন,
“একাত্তরে যেমন দেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, তেমনি ২০২৪ সালে সর্বস্তরের মানুষ একত্রিত হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে। আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার এবং গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পেতে চায়।”
তিনি আরও বলেন,
“এখন সময় এসেছে সবাই মিলে দেশ গড়ার। এই দেশে পাহাড়ের মানুষ, সমতলের মানুষ, মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান—সবাই আছে। আমরা এমন একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে নারী, পুরুষ ও শিশু—যে কেউ ঘর থেকে বের হলে নিরাপদে বের হয়ে আবার নিরাপদে ফিরতে পারে।”
তরুণ প্রজন্মের ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন,
“আগামী দিনে দেশ গড়ে তুলবে তরুণরাই।”
তিনি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর রাষ্ট্র গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে পরপর তিনবার বলেন,
“আমরা দেশের শান্তি চাই।”
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের বিখ্যাত উক্তির প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন,
“‘আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’-এর মতো আমিও বলছি, ‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান’। দেশ গড়ে তোলার জন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রত্যেক মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
এসআর
মন্তব্য করুন: