[email protected] রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
১৩ পৌষ ১৪৩২

২৯ ঘণ্টায় ৪৭ লাখ টাকা অনুদান পেলেন তাসনিম জারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১:১৮ পিএম

সংগৃহীত ছবি

ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা জানিয়েছেন, তাঁর নির্বাচনি প্রচারণার জন্য নির্ধারিত প্রায় ৪৭ লাখ টাকার ফান্ডরেইজিং লক্ষ্যমাত্রা মাত্র ২৯ ঘণ্টার মধ্যেই পূরণ হয়েছে।

ফলে তিনি আর কোনো অনুদান গ্রহণ করবেন না।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “আপনারা মাত্র ২৯ ঘণ্টায় আমাদের প্রায় ৪৭ লাখ টাকার ফান্ডরেইজিং লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে ফেলেছেন।

এই অভূতপূর্ব সাড়া পুরোনো রাজনৈতিক ধারার ভিত্তিকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আর কোনো অনুদান গ্রহণ করছি না।


তিনি বলেন, এখন শুরু হচ্ছে আসল লড়াই। তাঁর দাবি, এই নির্বাচনে অনেক প্রার্থী ১০ থেকে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করবেন এবং অনেকে মনে করেন টাকা দিয়েই ভোট কেনা যায়। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, মানুষের সমর্থন ও অংশগ্রহণই পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় শক্তি।

নির্বাচনি কৌশল ব্যাখ্যা করে ডা. তাসনিম জারা জানান, ঢাকা-৯ আসনে প্রায় ৫ লাখ ভোটার রয়েছেন। একজন প্রার্থী হিসেবে সরাসরি হেঁটে হেঁটে প্রতিটি পরিবারের কাছে পৌঁছানো বাস্তবসম্মত নয়। পুরো প্রচারণা সময়ে তিনি বড়জোর ৪ হাজার পরিবারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারবেন, ফলে বিপুল সংখ্যক ভোটারের কাছে বার্তা পৌঁছাতে স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, “আমরা টাকার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছি, তাই পেইড কর্মী নিয়োগ দেব না। নতুন রাজনীতি গড়তে হলে মানুষের কাছে আমাদের কথা পৌঁছাতে স্বেচ্ছাসেবকদেরই এগিয়ে আসতে হবে।”
ডা. তাসনিম জারা আরও জানান, অনেক সমর্থক ঢাকা-৯ এর ভোটার না হলেও তাঁদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু বা সহকর্মীরা এই এলাকায় থাকেন। পরিচিত মানুষের একটি ফোন কল বা ব্যক্তিগত অনুরোধ পোস্টার-ব্যানার কিংবা ব্যয়বহুল প্রচারণার চেয়েও বেশি কার্যকর হতে পারে।

তিনি সমর্থকদের উদ্দেশে দুটি নির্দিষ্ট আহ্বান জানান। প্রথমত, সপ্তাহে ৪ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলা। দ্বিতীয়ত, পোলিং এজেন্ট হিসেবে বা নির্বাচনের দিন ভোটারদের সহায়তায় কাজ করতে টিমে যোগ দেওয়া।

তার ভাষায়, “ভোটের দিন প্রতিটি বুথে আমাদের এমন মানুষ দরকার, যারা অন্যায়ের সামনে মাথা নত করবে না।”

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর