ওসমান হাদির মৃত্যুর পর রাজধানীর শাহবাগ মোড় উত্তাল
হয়ে উঠেছে। শুক্রবার বিকেল থেকে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে শতাধিক শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ শাহবাগে অবস্থান নিলে ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সরেজমিনে শাহবাগ মোড় ঘুরে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা শাহবাগে এসে জড়ো হন এবং সেখানে অবস্থান নেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কয়েকটি স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন দেওয়া হয়। প্রথম আলো ভবনে কেউ আটকা না পড়লেও ডেইলি স্টারের ভবনে প্রায় ৩০ জন গণমাধ্যমকর্মী অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যরা সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাদের নিরাপদে উদ্ধার করেন।
শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীরা ‘বিচার চাই, বিচার চাই’ এবং ‘ওসমান হাদির রক্ত বৃথা যেতে দেব না’—এমন নানা স্লোগান দিতে থাকেন। অবরোধের কারণে শাহবাগ হয়ে সায়েন্স ল্যাব, ফার্মগেট ও পল্টনমুখী সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শাহবাগ এলাকায় বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জলকামান ও টিয়ারশেলসহ পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।
এ সময় মুত্তাকিম নামে এক আন্দোলনকারী বলেন, তিনি ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে শাহবাগে এসেছেন। তার ভাষায়, যাত্রাবাড়িতে অবস্থান করলেও হাদির মৃত্যুর খবর শোনার পর আর ঘরে থাকতে পারেননি। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে বিদেশি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
এসআর
মন্তব্য করুন: