[email protected] রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
১৪ পৌষ ১৪৩২

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক

গুম ও হাওর সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ৪:২৮ পিএম

গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং

বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫–এর খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

গুম সংক্রান্ত অধ্যাদেশ

সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি অন্তত পাঁচ বছর ধরে নিখোঁজ থাকলে এবং জীবিত ফিরে না এলে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনাল তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গুম’ বা ‘ডিসঅ্যাপিয়ার্ড’ হিসেবে ঘোষণা করতে পারবে।
এছাড়া মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনালের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগের সুযোগ থাকবে।

ভুক্তভোগী বা অভিযোগকারী চাইলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন। পাশাপাশি, গুম হওয়া ব্যক্তির স্ত্রী বা তার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যরা কমিশনের পূর্বানুমতি ছাড়াই ওই ব্যক্তির সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারবেন।

হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ

উপদেষ্টা পরিষদ বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়াও অনুমোদন দিয়েছে। এতে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের দায়িত্ব, ক্ষমতা ও অধিক্ষেত্র স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হবে।

অধ্যাদেশে হাওর ও জলাভূমির জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষার জন্য সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা, নিষিদ্ধ কার্যক্রম নির্ধারণ এবং এসব অপরাধের জন্য দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া, হাওর ও জলাভূমি এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ব্যতিক্রম ছাড়া অধিদপ্তরের মতামত গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

স্থানীয় অংশীজনদের সম্পৃক্ততা, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় এবং সংরক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিধি ও নির্দেশিকা প্রণয়নের ক্ষমতাও অধ্যাদেশে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

অন্যান্য সিদ্ধান্ত

বৈঠকে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নে বাংলাদেশের নতুন একটি দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বর্তমানে জেনেভায় অবস্থিত স্থায়ী মিশনের মাধ্যমে কূটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হলেও কৌশলগত ও প্রশাসনিক প্রয়োজন বিবেচনায় বার্নে পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রদূতসহ সীমিত জনবল নিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে।

এছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির গুরুতর অসুস্থতা নিয়েও আলোচনা হয়। তার চিকিৎসা বিষয়ে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

বৈঠকে এ বছর বিজয় দিবস সুশৃঙ্খলভাবে আয়োজনের জন্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানানো হয়।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর