প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন,
সাম্প্রতিক হাদির ওপর হামলার ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন এবং এর মাধ্যমে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে—এমনটি বলা ঠিক নয়। তিনি জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে নির্বাচন কমিশনের কোনো ধরনের সংশয় নেই এবং নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজনের জন্য তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
সোমবার রাজধানীর গুলশানে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, দেশে মাঝেমধ্যে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, যা অতীতেও ঘটেছে। তিনি উল্লেখ করেন, এ ধরনের সহিংস ঘটনা বাংলাদেশের জন্য নতুন নয় এবং এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই দেখা উচিত।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অতীতের কিছু সময়ের তুলনায় বর্তমানে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এখন সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে এবং নিরাপত্তা বাহিনী সক্রিয় রয়েছে। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে শীর্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছে এবং তারা নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে।
সিইসি আরও বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে আয়োজন করতে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ লক্ষ্য অর্জনে রাজনৈতিক দল, প্রশাসন, গণমাধ্যম এবং জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি জানান, এবারের নির্বাচন কয়েকটি কারণে ব্যতিক্রমী হতে যাচ্ছে। প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের ডাকযোগে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, কারাবন্দি এবং নিজ নির্বাচনী এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি কর্মচারীরাও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।
এছাড়া জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একটি গণভোট আয়োজনের কথাও জানান তিনি। এসব উদ্যোগকে সাহসী ও ঐতিহাসিক উল্লেখ করে সিইসি বলেন, তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: