[email protected] রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
১৩ পৌষ ১৪৩২

কারাবন্দিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্দেশিকা জারি ইসির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ২:২৫ এএম

সংগৃহীত ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে দেশের জেলখানা এবং আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এই নির্দেশিকা কারা মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিং’ (আইসিপিভি) পদ্ধতির মাধ্যমে জেলখানা বা আইনি হেফাজতে আটক থাকা ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

ইসি জানায়, জেলখানা বা আইনি হেফাজতে আটক ভোটারদের তালিকাভুক্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। এ উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হবে। নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিটি জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ দু’জন করে প্রতিনিধি মনোনয়ন দেবেন।
আগ্রহী ভোটারদের নিবন্ধন শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিল ও স্বাক্ষরসহ মুদ্রিত তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠাবে। একই সঙ্গে নির্ধারিত পোর্টালে ভোটারদের প্রয়োজনীয় তথ্য আপলোড করা হবে। নিবন্ধিত ভোটাররা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটের খাম গ্রহণ করবেন।

নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়, পোস্টাল ব্যালটের খামে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য পৃথক দুটি ব্যালট পেপার, ভোট প্রদানের নির্দেশাবলি, একটি ঘোষণাপত্র এবং রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা সংবলিত ফেরত খাম থাকবে।

ভোট গ্রহণের জন্য জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ ভোটকক্ষ বা গোপন কক্ষ প্রস্তুত করবে। পোস্টাল ব্যালট পেপারে কোনো প্রার্থীর নাম থাকবে না, বরং নির্ধারিত প্রতীক ও প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘর থাকবে। এ কারণে ভোটারদের নিজ নিজ সংসদীয় আসনের প্রার্থী তালিকা ও প্রতীক সরবরাহ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটাররা প্রতীকের পাশে টিক (√) বা ক্রস (×) চিহ্ন দিয়ে ভোট দেবেন।

একইভাবে গণভোটের ব্যালট পেপারে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’-এর পাশে চিহ্ন দিয়ে ভোট প্রদান করতে হবে। ভোট দেওয়ার আগে ঘোষণাপত্রে নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর লিখে স্বাক্ষর করতে হবে। স্বাক্ষর করতে অক্ষম হলে অন্য একজন ভোটার তা সত্যায়ন করবেন।

ভোটদান শেষে ব্যালট পেপার দুটি ছোট খামে রেখে তা সিল করে স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্রসহ রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা মুদ্রিত ফেরত খামে জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব খাম সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষণ করে দ্রুত ডাক বিভাগের মাধ্যমে রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাবে।

নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়, পোস্টাল ব্যালট পাঠানোর জন্য কোনো ডাক মাশুল দিতে হবে না। এর ব্যয় সরকার বহন করবে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর