সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ও অর্থনীতিবিদ ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) উপেক্ষা করেছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই এবং একটি ভালো নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডে সিরডাপ মিলনায়তনে সুজন আয়োজিত ‘নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার অগ্রগতি’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ১৮টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র চিহ্নিত করে সংস্কারের সুপারিশ করেছিল। একটি স্বাধীন ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠন এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে কমিশন একাধিক সুপারিশ দেয়। তবে কিছু সুপারিশ গ্রহণ করা হলেও বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উপেক্ষিত থেকে গেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন শেষে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল গেজেটে প্রকাশের আগে তার সুষ্ঠুতা ও গ্রহণযোগ্যতা সার্টিফাই করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিধান যুক্ত করার বিষয়ে আরপিও অধ্যাদেশে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
এছাড়া পরপর দুটি নির্বাচনে অংশ না নিলে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল এবং প্রতি পাঁচ বছর পরপর নিবন্ধন নবায়ন বাধ্যতামূলক করার সুপারিশও উপেক্ষা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ড. বদিউল আলম আরও বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দেওয়ার পরিবর্তে ৫০০ ভোটারের সম্মতির বিধান অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশটিও আরপিও অধ্যাদেশে রাখা হয়নি।
গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সুজনের ট্রাস্টি বিচারপতি আবদুল মতিন।
এসআর
মন্তব্য করুন: