[email protected] রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
১৪ পৌষ ১৪৩২

হাদি হত্যাকাণ্ড

ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংকে ১২৭ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:২১ পিএম

সংগৃহীত ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটির বেশি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবু তালেব।

তিনি বলেন, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে এসব লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।


সিআইডি জানায়, এ ঘটনায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী ফয়সাল করিম মাসুদসহ তার সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার সংক্রান্ত পৃথক অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ঘটনাটির বিভিন্ন দিক নিয়ে সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে।

ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং ফরেনসিক পরীক্ষাসহ হত্যাকাণ্ডের পেছনের নেটওয়ার্ক শনাক্তে কাজ চলছে।

সিআইডির অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেপ্তার অভিযানের সময় উদ্ধার করা বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ফয়সাল ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা চেকগুলোতে বিপুল অঙ্কের অর্থের উল্লেখ রয়েছে।

চূড়ান্ত লেনদেন সম্পন্ন না হওয়া এসব রেকর্ডের সমষ্টিগত মূল্য প্রায় ২১৮ কোটি টাকা।


তবে প্রাথমিক বিশ্লেষণে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে, যা মানিলন্ডারিং, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও সন্ত্রাসী অর্থায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে।

সিআইডি আরও জানায়, অভিযুক্তদের ব্যাংক হিসাবে থাকা প্রায় ৬৫ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।

পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের পেছনে অর্থায়ন, পরিকল্পনা ও অস্ত্র সরবরাহে কোনো সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একাধিক টিম কাজ করছে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর