জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেন্টার (জেআইসি) সেলে গুম ও
নির্যাতনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল পাঁচটি অভিযোগ গঠন করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক–বর্তমান সামরিক কর্মকর্তাসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৯ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করা হয়।
আদালতে উপস্থিত তিন আসামি অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আইন অনুযায়ী চার্জ গঠনের অন্তত ২১ দিন পর বিচারকাজ শুরু করা যেতে পারে। তবে আসামিপক্ষ দুই মাস সময় চাইলে এ বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে যুক্তিতর্ক হয়। পরে আদালত পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য দিন ধার্য করেন।
বর্তমানে গ্রেপ্তার থাকা তিন আসামি হলেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক দুই পরিচালক ও একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। অন্য ১০ জন পলাতক, যাদের মধ্যে ডিজিএফআইয়ের একাধিক সাবেক মহাপরিচালক এবং সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রয়েছেন।
প্রসিকিউশনের অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত সময়ে সরকারবিরোধী মতাদর্শের বহু ব্যক্তিকে জেআইসি সেলে গোপনে আটক রেখে নির্যাতন করা হয়। এ সময় অন্তত ২৬ জন গুমের শিকার হন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে পলাতক আসামিদের জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং জাতীয় পত্রিকায় হাজিরা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: