সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ১৫ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযোগ, তিনি এবং আরও চারজন সামাজিক মাধ্যম ও বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বক্তব্য:
আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তারকে “উদ্বেগজনক প্রবণতা” হিসেবে দেখেছে।
তাদের মতে, মতপ্রকাশের কারণে কাউকে টার্গেট করা মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন।
সরকারের উচিত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার না করে, বাক-স্বাধীনতা ও সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করা।
আইসিসিপিআর (নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চুক্তি) অনুযায়ী অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
আনিস আলমগীরের বক্তব্য:
আদালতে তিনি বলেছেন, “আমি একজন সাংবাদিক। ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন করি, এটাই দুই দশক ধরে আমার কাজ।”
পাশাপাশি গ্রেপ্তার হওয়া অন্যান্য আসামি:
অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন
ফ্যাশন মডেল মারিয়া কিসপট্টা
উপস্থাপক ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ
মামলার অভিযোগের
২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর, আনিস আলমগীর এবং সহযোগীরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও টিভি টকশোতে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনর্গঠনের প্রচারণা চালিয়েছে।
অভিযোগ, এভাবে তারা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে।
আদালতের রায়:
৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট:
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
অ্যামনেস্টি মনে করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হলো ভয়হীন পরিবেশ তৈরি করা এবং মানবাধিকার রক্ষা করা।
এসআর
মন্তব্য করুন: