[email protected] রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
১৪ পৌষ ১৪৩২

সাংবাদিক আনিস আলমগীরের মুক্তি চায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:৩৫ এএম

সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ১৫ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযোগ, তিনি এবং আরও চারজন সামাজিক মাধ্যম ও বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বক্তব্য:

আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তারকে “উদ্বেগজনক প্রবণতা” হিসেবে দেখেছে।

তাদের মতে, মতপ্রকাশের কারণে কাউকে টার্গেট করা মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন।

সরকারের উচিত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার না করে, বাক-স্বাধীনতা ও সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করা।

আইসিসিপিআর (নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চুক্তি) অনুযায়ী অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

আনিস আলমগীরের বক্তব্য:

আদালতে তিনি বলেছেন, “আমি একজন সাংবাদিক। ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন করি, এটাই দুই দশক ধরে আমার কাজ।”

পাশাপাশি গ্রেপ্তার হওয়া অন্যান্য আসামি:

অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন

ফ্যাশন মডেল মারিয়া কিসপট্টা

উপস্থাপক ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ

মামলার অভিযোগের 

২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর, আনিস আলমগীর এবং সহযোগীরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও টিভি টকশোতে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনর্গঠনের প্রচারণা চালিয়েছে।

অভিযোগ, এভাবে তারা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে।

আদালতের রায়:

৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট:

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

অ্যামনেস্টি মনে করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হলো ভয়হীন পরিবেশ তৈরি করা এবং মানবাধিকার রক্ষা করা।

 

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর