বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত বয়সের কাছাকাছি
হলেও পর্দায় তাঁর উপস্থিতি আজও দর্শকদের মুগ্ধ করে। স্বাভাবিক সৌন্দর্য ও হাসির জন্য পরিচিত এই অভিনেত্রী কখনোই কৃত্রিম উপায়ে নিজেকে বদলানোর পথে হাঁটেননি। তবে ক্যারিয়ারের শুরুতে এই স্বাভাবিক রূপ নিয়েই তাঁকে নানা কথা শুনতে হয়েছিল।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মাধুরী জানান, নব্বই দশকের শুরুতে চলচ্চিত্র জগতে নিজের জায়গা তৈরি করার সময় অনেকেই তাঁর চেহারার বিভিন্ন দিক নিয়ে মন্তব্য করতেন। বিশেষ করে নাক ও ঠোঁটের গড়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেউ কেউ অস্ত্রোপচারের পরামর্শও দিয়েছিলেন।
মাধুরীর ভাষ্য অনুযায়ী, সে সময় এসব কথা তাঁকে মানসিকভাবে কষ্ট দিত এবং হতাশ করে তুলত। তবে কঠিন সেই সময়ে তাঁর সবচেয়ে বড় ভরসা ছিলেন তাঁর মা। ‘তেজাব’ সিনেমা মুক্তির আগে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মাধুরীকে তাঁর মা আশ্বস্ত করে বলেছিলেন—একটি কাজ সফল হলে সমালোচনাও আপনাআপনি থেমে যাবে।
বাস্তবে সেটাই ঘটেছিল। ‘তেজাব’ ছবির সাফল্যের পর মাধুরীর ক্যারিয়ার নতুন মোড় নেয়। যাঁরা একসময় সমালোচনা করতেন, তাঁরাই পরে তাঁর অভিনয় ও উপস্থিতির প্রশংসা করতে থাকেন।
বর্তমান সময়ে বিনোদন জগতে বাহ্যিক পরিবর্তনের প্রবণতা বাড়লেও মাধুরী দীক্ষিত বিশ্বাস করেন স্বাভাবিকতাকে গ্রহণ করার মধ্যে। নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাহ্যিক বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা না করে নিজের কাজের প্রতি মনোযোগ দেওয়া জরুরি। তাঁর মতে, নিষ্ঠা ও সাফল্যই শেষ পর্যন্ত সব প্রশ্নের জবাব দেয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: