[email protected] রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
১৩ পৌষ ১৪৩২

‘বিবাহিত হিরো–হিরোইনের সিনেমায় আবেদন থাকে না’: শাকিল খান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১:২৪ পিএম

সংগৃহীত ছবি

ঢালিউডের নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিল খান মনে করেন, বিবাহিত নায়ক-নায়িকাদের সিনেমায় সাধারণত দর্শকের আকর্ষণ কমে যায়।

তার ভাষায়, সিনেমা এক ধরনের স্বপ্নের জগৎ—আর সেই স্বপ্ন ভাঙলে আবেগও ম্লান হয়ে পড়ে।
১৯৯৪ সালে রূপালি পর্দায় যাত্রা শুরু করা শাকিল খান ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া আমার ঘর আমার বেহেশত সিনেমার মাধ্যমে দর্শকের নজরে আসেন। পরবর্তী সময়ে একের পর এক সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়কদের কাতারে জায়গা করে নেন তিনি। যদিও বর্তমানে অভিনয়ের চেয়ে ব্যবসা নিয়েই বেশি ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন, তবুও চলচ্চিত্র ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে নিজের স্পষ্ট মতামত প্রকাশে নিয়মিত সরব থাকেন এই অভিনেতা।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে ঢালিউডের বর্তমান বাস্তবতা, তারকাদের অবস্থান ও দর্শকের রুচি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন শাকিল খান। আলোচনার এক পর্যায়ে বিবাহিত নায়ক-নায়িকাদের সিনেমার গ্রহণযোগ্যতা প্রসঙ্গ উঠে আসে। এ সময় তিনি বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খান, অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস ও বুবলিকে ঘিরে সরাসরি মন্তব্য করেন।
শাকিল খান বলেন, একসময় বিয়ে করলে নায়ক-নায়িকাদের ক্যারিয়ার প্রায় শেষ হয়ে যেত। সময় বদলালেও বিষয়টি পুরোপুরি বদলায়নি। তিনি বলেন,
“শাকিব খান বিয়ে করেও সুপারস্টার হয়েছেন—এটা সত্য। কিন্তু এই একটি উদাহরণ দিয়েই সবাইকে বিচার করা যায় না।”
প্রশ্ন তুলে তিনি আরও বলেন,
“অনন্ত জলিল ও বর্ষার সিনেমা কি সত্যিকারের অর্থে চলছে? শাকিব-বুবলির সিনেমা কি আগের মতো ব্যবসা করছে? বুবলির কিছু সিনেমা চললেও অপু বিশ্বাসের সিনেমা তো চলছে না। শেষ পর্যন্ত একমাত্র শাকিব খানের সিনেমাই নিয়মিত দর্শক টানছে।”
সিনেমার দর্শন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শাকিল খান বলেন,
“সিনেমা মানেই স্বপ্নের জগৎ। দর্শক হলে বসে বাস্তবতা ভুলে যায়, প্রেমের দৃশ্যে হারিয়ে যায়, হিরো-হিরোইনের আবেগে নিজেকে খুঁজে পায়। হিরো-হিরোইন অবিবাহিত থাকলে দর্শকের কল্পনায় তাদের প্রতি মোহ ও আকর্ষণ বেশি কাজ করে। কিন্তু বাস্তব জীবনে তাদের বিয়ে হয়ে গেলে সেই মোহটা অনেকটাই কমে যায়—এটাই বাস্তবতা।”
তার মতে, ব্যতিক্রম থাকলেও সামগ্রিকভাবে বিবাহিত নায়ক-নায়িকাদের সিনেমায় আবেদন কমে আসে। দর্শক তখন চরিত্রের সঙ্গে পুরোপুরি একাত্ম হতে পারেন না, ফলে সিনেমার প্রতি আগ্রহও ধীরে ধীরে হ্রাস পায়।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর