কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলে মহান বিজয় দিবস–২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সুমাইয়া আফরীন সানি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে হলের আবাসিক শিক্ষক তারিন বিনতে এনাম, মাহিনুর আক্তারসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, আবাসিক শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিজয়ের ৫৪ বছর উপলক্ষে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত ৭ দিনব্যাপী প্রীতি ক্রীড়া টুর্নামেন্ট ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা হলেন—
লুডু প্রতিযোগিতা:
১ম— তারিন আক্তার (একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস),
২য়— সিনথিয়া ইসলাম (একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস),
৩য়— রুবাইয়্যা প্রমি (লোকপ্রশাসন)।
ক্যারম প্রতিযোগিতা:
১ম— ফারজানা আক্তার (একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস),
২য়— নিশাত জাহান জুঁই (নৃবিজ্ঞান),
৩য়— রাজিয়া সুলতানা লুৎফা (লোকপ্রশাসন)।
ভারসাম্য দৌড়:
১ম— সিনথীয়া আক্তার (লোকপ্রশাসন),
২য়— আছমা আক্তার (পরিসংখ্যান),
৩য়— সিনথীয়া আক্তার (লোকপ্রশাসন)।
ব্যাডমিন্টন:
১ম— দিথী রানী সেন কনা (আইন),
২য়— হাবিবা আক্তার (ইংরেজি),
৩য়— মলি আক্তার (নৃবিজ্ঞান)।
হাড়িভাঙা:
১ম— কাশপিয়া কাশেম (ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং),
২য়— আসমাউল হুসনা (মার্কেটিং),
৩য়— মোর্শেদা খানম (লোকপ্রশাসন)।
রশি লাফ:
১ম— বৈশাখী চাকমা (প্রত্নতত্ত্ব),
২য়— আছমা আক্তার (পরিসংখ্যান),
৩য়— নিশাত জাহান জুঁই (নৃবিজ্ঞান)।
বালিশ খেলা:
১ম— কাশপিয়া কাশেম (ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং),
২য়— রাজিয়া সুলতানা লুৎফা (লোকপ্রশাসন),
৩য়— মোছা. নুসরাত জাহান চৈতি (একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস)।
এছাড়াও ‘মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা: সাহসিকতার দৃষ্টান্ত’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায়—
১ম— মাহমুদা সুলতানা (কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি),
২য়— মেহের আফরোজ তারিন (ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি),
৩য়— চাঁদনী আক্তার (প্রত্নতত্ত্ব)।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন,
“বর্তমানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ২৪ শতাংশ শিক্ষার্থীকে আবাসিক সুবিধা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
যারা এ সুবিধা পাচ্ছো, পড়াশোনা শেষে তোমরা দেশ ও সমাজের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করবে— এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
সভাপতির বক্তব্যে হল প্রাধ্যক্ষ ড. সুমাইয়া আফরীন সানি বলেন,
“আজকের এই আয়োজনের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আমাদের হলের শিক্ষার্থীদের। কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও আমরা সেগুলো কাটিয়ে উঠতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
আশা করি খুব শিগগিরই এসব সীমাবদ্ধতা দূর করতে পারবো।”
সবশেষে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
এসআর
মন্তব্য করুন: