আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট মোকাবিলা এবং বাজার স্থিতিশীল রাখতে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় উৎস থেকে মোট ৪ কোটি ৭৫ লাখ লিটার ভোজ্যতেল কিনবে সরকার।
এর মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৩ কোটি ৭৫ লাখ লিটার এবং স্থানীয়ভাবে ১ কোটি লিটার ভোজ্যতেল সংগ্রহ করা হবে।
একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভোজ্যতেল কিনতে মোট ব্যয় হবে ৬৪২ কোটি ৪৫ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ টাকা এবং মসুর ডাল কিনতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২ কোটি ২০ লাখ টাকা। এসব পণ্য ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এসব ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিকভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে নাইজেরিয়া থেকে ২ কোটি লিটার পরিশোধিত সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে নাইজেরিয়ার ভিডক ফার্মস অ্যান্ড এক্সপোর্টস লিমিটেড দরপ্রস্তাব দাখিল করে, যা মূল্যায়নের পর টেন্ডার ইভ্যালুয়েশন কমিটি (টিইসি) রেসপনসিভ হিসেবে গ্রহণ করে।
নেগোসিয়েশন শেষে ব্রাজিল উৎসের এই সয়াবিন তেল ২৪২ কোটি ৬৪ লাখ ৩২ হাজার টাকায় কেনার প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদ কমিটিতে উপস্থাপন করা হলে তা অনুমোদিত হয়।
জানা গেছে, ২ লিটার পেট বোতলে চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২১ টাকা ৩২ পয়সা। টিসিবির গুদাম পর্যন্ত অন্যান্য ব্যয়সহ প্রতি লিটার তেলের মোট খরচ দাঁড়াবে ১৫০ টাকা ৩৪ পয়সা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই তেল খোলা বাজারে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দামে এবং ক্রয়মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হবে। ফলে সরকারের কোনো ভর্তুকির প্রয়োজন হবে না।
এছাড়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্টুয়ার্ট ক্লোবানু গেরহার্ড থেকে আন্তর্জাতিকভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে আরও ১ কোটি ২৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই তেলও একই নীতিতে বাজারজাত করা হবে এবং এতে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে না।
এসআর
মন্তব্য করুন: