১৩ পৌষ ১৪৩২
হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির গ্রেফতার
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী সোমবার রাতে জানান, আগের দিন রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে কবিরকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার তাকে পল্টন থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
র্যাব জানায়, ঘটনার কয়েক দিন আগে কবির ফয়সাল করিমের সঙ্গে বাংলামোটরে অবস্থিত শরিফ ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে যান।
শুরুতে কবির বিষয়টি অস্বীকার করলেও সিসিটিভি ফুটেজে তার উপস্থিতি ধরা পড়ে। ফুটেজ দেখানোর পর তিনি স্বীকার করেন যে, প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনের উদ্দেশ্যেই তারা সেখানে গিয়েছিলেন।
কবিরের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার সদর থানার বড় বিঘাই গ্রামে। ফয়সাল করিম মাসুদের বাড়িও একই জেলায় বলে জানিয়েছে র্যাব।
হাদিকে গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে প্রথমে র্যাব আটক করে পরে পুলিশে হস্তান্তর করে, এরপর তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
এ ছাড়া মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে ফয়সাল করিমের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপু এবং ঘনিষ্ঠ বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে, গুলিবর্ষণকারীদের পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে সীমান্তে নজরদারি জোরদার করা হয় এবং শেরপুরের নালিতাবাড়ী এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগকালে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়।
চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় একটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, যা তার মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
চিকিৎসকদের মতে, তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: