গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান অভিযোগ
করেছেন, আওয়ামী লীগ একটি পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রায় ৫০ জন রাজনৈতিক প্রার্থীকে হত্যার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। তিনি বলেন, এই কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে তারা মনে করেন।
মঙ্গলবার সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব মন্তব্য করেন তিনি। রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও বিদেশি আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলায় গণঅধিকার পরিষদের এক নেতাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ওসমান হাদি নামে ওই নেতার মাথায় গুলি চালানো হলেও এখনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, আসামি শনাক্তে পুরস্কার ঘোষণার আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা প্রয়োজন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, পুলিশ, র্যাব ও যৌথ বাহিনী থাকার পরও কেন অপরাধীরা ধরা পড়ছে না—এটাই জনগণের প্রশ্ন।
রাশেদ খান আরও বলেন, আগে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ ঘোষণা করা হয়েছিল। তার মতে, এখন সরকারের ভেতরে ও বিভিন্ন দপ্তর এবং বাহিনীতে যারা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট–২’ চালু করা উচিত।
সরকারের কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় অদক্ষতা, উপদেষ্টাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব এবং কার্যকর সংস্কারের ঘাটতি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তিনি দাবি করেন, সরকার যে উন্নত ও আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি নতুন রাষ্ট্র গড়া। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেই কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র এখনো বাস্তবায়িত হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের ভূমিকা প্রসঙ্গে রাশেদ খান বলেন, দলটি নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে তুলে ধরলেও বাস্তবে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার অভিযোগ অনুযায়ী, বিভিন্ন সময়ের বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করা হয়েছে, যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এসআর
মন্তব্য করুন: