কুয়াশায় বিপাকে সাধারণ মানুষ উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশা ও হিমেল
বাতাসের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তীব্র শীতের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর ও চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।
ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা এতটাই ঘন থাকছে যে অনেক এলাকায় যানবাহন চলাচলের সময় হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। শীত থেকে বাঁচতে মানুষ খড়কুটো ও জ্বালানি জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছেন। এতে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে ঠান্ডাজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ছে।
শনিবার সকালে কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এই ঠান্ডায় দিনমজুর, রিকশাচালক, নৌকার মাঝি ও কৃষিশ্রমিকরা কাজে বের হতে পারছেন না। ফলে অনেক পরিবারের আয় বন্ধ হয়ে পড়েছে।
রৌমারী উপজেলার এক কৃষক জানান, সকালে কাজে বের হলে হাত-পা অবশ হয়ে আসে, কিন্তু কাজ না থাকায় সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। চিলমারী এলাকার নৌকার মাঝিরা বলেন, নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে নৌকা চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আবার শহর ও গ্রামাঞ্চলে অনেকেই গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে রয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী শীতবস্ত্র এখনও পৌঁছায়নি। সরকারি ও বেসরকারি সহায়তা আরও বাড়ানো জরুরি বলে মনে করছেন তারা।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, শীতের কারণে শিশু ও বয়স্কদের নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। গরম কাপড় ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুড়িগ্রামের নয়টি উপজেলায় শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: