[email protected] রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
১৩ পৌষ ১৪৩২

ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত পঞ্চগড়ের জনজীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:৪৩ এএম

উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে টানা ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতের

কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে তেঁতুলিয়া উপজেলায় তাপমাত্রা কিছুটা ওঠানামা করলেও বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতা ও দীর্ঘ সময় ধরে কুয়াশা থাকায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ, যানবাহন চালক, শিশু ও বয়স্করা।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা ছিল শতভাগ। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত সড়ক, মাঠ ও খোলা জায়গা ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকায় দৃষ্টিসীমা অনেকটাই কমে যায়। ফলে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সেদিনও বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। কুয়াশার কারণে সকাল পর্যন্ত স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হলেও বিকেলের দিকে কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মেলে। ওই দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যার পর আবারও শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকে এবং শিশির পড়তে থাকে বৃষ্টির মতো।
টানা কুয়াশা ও শীতের কারণে অনেক মানুষ সকালে কাজে বের হতে পারছেন না। বিভিন্ন এলাকায় শীত নিবারণের জন্য খড়কুটো ও কাঠ জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যাচ্ছে।
চাকলাহাট এলাকার দিনমজুর সালাম জানান, সকালে কাজে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। কুয়াশা ও ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে, আগুন না পোহালে শরীর গরম করা যায় না।
কৃষিশ্রমিক রবিউল বলেন, ঠান্ডার কারণে সকালে মাঠে নামতে দেরি হচ্ছে। এই শীতে কাজ করা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।
অটোরিকশাচালক নজরুল ইসলাম জানান, কুয়াশার মধ্যে সামনে স্পষ্ট দেখা যায় না। হেডলাইট জ্বালিয়েও ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি শীত মৌসুমে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ ডিসেম্বর। সেদিন তাপমাত্রা নেমে আসে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে বিবেচিত।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও বর্তমানে তাপমাত্রা আবার কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতভাগ।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর