[email protected] রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
১৪ পৌষ ১৪৩২

‘বন্দর বছরে ৭২০ কোটি টাকা চাঁদাবাজদের দেয়, অথচ ন্যায্য কর দেয় না’ : মেয়র শাহাদাত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ৯:৫৪ পিএম

সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করে বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ন্যায্য পৌর কর পরিশোধ না করলেও চাঁদাবাজদের পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক গবেষণা কার্যক্রমের ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেয়র বলেন, জরিপ অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দরের বছরে প্রায় ২৬৪ কোটি টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স (পৌর কর) পরিশোধ করার কথা। কিন্তু বাস্তবে তারা দিচ্ছে মাত্র ৪৫ কোটি টাকা। অথচ বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেরাই স্বীকার করে যে, প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা চাঁদাবাজদের দিতে হয়। সে হিসাবে বছরে প্রায় ৭২০ কোটি টাকা চাঁদাবাজদের পেছনে চলে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, “যে করটি সিটি করপোরেশনের ন্যায্য প্রাপ্য, সেটি দিতে তারা অনীহা দেখায়। অথচ অবৈধ খাতে এত বিপুল অর্থ ব্যয় করাকে তারা স্বাভাবিক হিসেবে মেনে নিচ্ছে।”
ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেখানে দীর্ঘদিন ধরে অর্থের অপচয় ও অব্যবস্থাপনা চলে আসছে। তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৬ বছরে বিভিন্ন ব্যাংকে রাখা বন্দরের বিপুল অর্থের কোনো হদিস নেই—সেসব টাকা কার্যত হাওয়া হয়ে গেছে।
মেয়র বলেন, “অপ্রয়োজনীয় খাতে অর্থ ব্যয় না করে ন্যায্য কর পরিশোধ এবং স্বচ্ছ আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা উচিত। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।”
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সংক্রমণের বর্তমান অবস্থা নিরূপণ এবং ভবিষ্যৎ জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলার কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে এসপেরিয়া হেলথ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর